Monday, October 13, 2014

sex with collige

অফিসের ছুটি প্রায় আধ ঘন্টা আগে হয়ে গেছেচুপচাপ একা একা কেবিনে বসে ল্যাপটপে মেল চেক করছিযাদের নিজেদের গাড়ি আছে তারা অনেকে চলে গেছেবাইরে ঝড় বৃষ্টি এখন কমেনি, সেই বিকেল চারটে থেকে শুরু হয়েছেআমার একটু তাড়া ছিল বের হবার কিন্তু বের হবার জো নেইরেজিগ্নেশান দিয়ে দিয়েছি গত সপ্তাহে, এক বড় কম্পানিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট টেকনিক্যাল হতে চলেছি কিছু দিনের মধ্যেবেড় হতে হবে আমাকে, ঘোরার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে সেই জায়গা, কিন্তু বৃষ্টিতে কি করে বের হব সেটা বড় চিন্তা

কেবিনের দরজা খুলে বেড়িয়ে দেখলাম দ্বিতীয় সিফটের ইঞ্জিনিয়ার গুলো বসে আছে, বেশির ভাগ ডেস্ক খালিকাফেটেরিয়ার দিকে হেঁটে গেলাম, কেউ নেই কোথাওঘড়ি দেখলাম সাড়ে সাতটা বাজে, এর পরে বের হলে নৈনিতাল পৌঁছতে দেরি হয়ে যাবে, আমাকে যেতে হবে তার ওপরে, মুন্সিয়ারিঘুরতে যাবার বাতিক আছে তার সাথে বাতিক আছে একটু ফটো তোলারকফি কাপ নিয়ে কফি মেশিনের দিকে এগিয়ে যেতেই পেছন থেকে শুনতে পেলাম একটা মিষ্টি গলা
কি স্যার এখন বাড়ি যাননি?” ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখলাম, দেসদিমনা সাহারিয়াবাবা মা যেন খুঁজে খুঁজে নাম রেখেছিল মেয়ের, যেমন নাম তেমনি দেখতেদেসদিমনা অফিসের নতুন জুনিয়ার এইচ.আর ম্যানেজার, কত আর বয়স হবে, আন্দাজ করে নেওয়া যাক, এই পঁচিশ পেরিয়েছেআসামিজ মেয়ে, দেখতে বেশ 
সুন্দরী বলা চলে, গায়ের রঙ বেশ ফর্সামেয়েটা অফিস জয়েন করার পরে এইচ.আর এর কাছে সব ছেলের কাজ যেন বেড়ে যায়বেশ একটু খোলামেলা পোশাক আশাক পরে মেয়েটা, টাইট টপ যাতে উদ্ধত বুকের আকৃতি বেশ ভালো ভাবে ফুটে উঠত, এমন কি মাঝে মাঝে ঘাড়ের কাছ থেকে তো টপ সরে গিয়ে ভেতর ব্রার কাঁধের স্ট্রাপটা পর্যন্ত দেখা যেতকোনদিন গোলাপি, কোনদিন নীল কোনদিন কালোসরু কোমর, অবশ্য কোমর দেখতে কেউ হয়ত পায়নি, তবে বেশির ভাগ দিন হাঁটু পর্যন্ত জিন্স পরে আসত, মলায়ম কোমল পায়ের গুলি দেখে তো ছেলেদের প্যান্ট ছোটো হয়ে যেতসুগোল নিতম্ব ওপরে জেঁকে বসে থাকা জিন্স, চলনে মনে হত যেন দুটো নরম কোমল ময়দার তাল ছন্দে ছন্দে দুলছে, আর তার সাথে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলে গুলোর আহা উঁহু অস্ফুট আওয়াজআমার কপাল খারাপ, বসি কেবিনে, পদ ডাইরেক্টার টেকনিকাল তাই লাস্যমায়ির রূপ আমার চোখের আড়ালে থাকতো বেশির ভাগ সময়ে
আমি হেসে জিজ্ঞেস করলাম তোমার কি খবর, তুমি এখন অফিসে কেন?”
কি করবো স্যার যা বৃষ্টি হচ্ছে তাতে কি আর বের হওয়া যায়? আমার তো আর আপনার মতন গাড়ি নেই আর আমার কোন বয়ফ্রেন্ড নেই যে আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেবেহেসে উত্তর দিল দেসদিমনা, বেশ সুন্দর সাজানো দুপাটি মুক্তর মতন সাদা দাঁত, আবার বাঁ দিকে একটা গজ দাঁত আছে যার জন হাসিটা আর বুক চিরে দিলমুখ খানি গোল, পটল চেরা চোখ বাঁকা ভুরু মনে হয় প্রতিদিন প্লাক করে ধনুকের আকার নিয়েছে
হুম, নিড সাম কফি?” আমি জিজ্ঞেস করলাম দেসদিমনা কে
সিওর স্যারআমি দুটো কফি কাপে কফি মেশিন থেকে কফি ঢেলে একটা ওর দিকে এগিয়ে দিলামআমার হাত থেকে কফি কাপ নিয়ে, গাড় বাদামি রঙ মাখা ঠোঁট দিয়ে কাপে ছোটো চুমুক দিয়ে প্রশ্ন করে বাড়ি কখন যাবেন?”
না আমি ঠিক বাড়ি যাচ্ছি না, আমি একটু বেড়াতে বের হচ্ছি আজলঙ ড্রাইভ টু মাউন্টেন্স
ভুরু কুঁচকে বলল দেসদিমনা কোথায় স্যার?”
উত্তরাখণ্ড, তবে যেখানে যাচ্ছি নাম হয়তো শোননি তুমিমুন্সিয়ারি
না স্যার নাম শুনিনি
আমি কেবিনের দিকে পা বাড়ালাম, না বেশি দেরি করলে চলবে না, কফি শেষ করে বেড়িয়ে পরা যাকরাকস্যাক, ক্যামেরা, তাঁবু, সব কিছু গাড়ির পেছনে রাখাআমার জন্য আমার ঘোরার জিনিস গুলো অপেক্ষা করছেআমার সাথে সাথে হাটতে লাগলো দেসদিমনা, একটু খানি পেছনে, সম্ভ্রম বোধ আছে মেয়েটার
আমি দরজা খুলে আমার কেবিনে ঢুকতে যাবো, দেসদিমনা জিজ্ঞেস করল স্যার আপনি যখন বের হবেন আমাকে বাড়িতে ছেড়ে দেবেন, প্লিসঐ রকম সুন্দরী মেয়ের কাতর আবেদন কে উপেক্ষা করতে পারে
আমি হেসে উত্তর দিলাম দেসদিমনা আমি তো সোজা হাইওয়ে ধরব, তবে রাস্তার মাঝে তোমার বাড়ি পড়লে নিশয় আমি তোমাকে বাড়ি ছেড়ে দেব
আপনি কোনদিক থেকে যাবেন, স্যার?”
আমি তো সোজা নয়ডা পাড় করে হাইওয়ে-24 ধরবতোমার বাড়ি কোথায়?”
হুম, তাহলে কি করে হবে স্যার?” কেমন একটু যেন হতাশা ভাব চোখে, কফির কিছুটা গোঁফের কাছে লেগে আছে, সেটা জিব বের করে চেটে নিল দেসদিমনাগোলাপি জিব যখন গাড় বাদামি ঠোঁটের ওপরে ঘুরে গেল, আমার মনে হল যেন আমাক সারা মুখের ওপর দিয়ে ঐ জিবটা ঘুড়িয়ে নিয়ে গেল মেয়েটাবুক ভরে একটা নিঃশ্বাস নিল, সাথে সাথে উন্নত বক্ষ যুগল ফুলে ফেপে উঠলো চোখের সামনে কাল্কাজি, থাকিনিঃশ্বাস নেওয়ার হাল্কা নীল টপের নিচের বুকের ওপরের ব্রার লাইনিং পর্যন্ত ফুটে উঠলকুঁচের ওপরে দুটি বৃন্ত যেন ফেটে বের হবে এই
ওকে, আমি নামিয়ে দেব তোমাকেএই কিছুক্ষণের মধ্যে আমি বের হব
থ্যাঙ্কস স্যারবলে হেসে নিজের সিটের দিকে পা বাড়ালআমি কেবিনের দরজা তো খুলেছিলাম ভেতরে ঢোকার জন্য, কিন্তু মেয়েটাকে পেছন থেকে দেখে ঢুকতে ভুলে গেলামকালো রঙের জিন্স কোমরের নিচের প্রতিটি অঙ্গের সাথে আঠার মতন জড়িয়েনিটোল নিতম্বের শেষের খাঁজ, সুগোল পেলব থাই সরু হয়ে নেমে এসে ছোটো গোল হাঁটু আর জিন্স শেষতারপরে তো অনাবৃত বক্র পায়ের গুচ্ছ সরু হয়ে নেমে ছোটো গোড়ালিতে গিয়ে মিশে গেছেবাঁ পায়ের গোড়ালিতে আবার স্টাইল করে একটা পাতলা রূপোর চেন বাঁধাহাঁটছে যেন, কাজিরঙ্ঘার মত্ত হস্তিনি, অসামান্য ছন্দে দুলছে নিতম্ব, তাতা থেইয়াঘাড়ের ঠিক নিচ পর্যন্ত নেমে আসা চুল, মাথার পেছনে একটা পনিটেল করে বাঁধা, মাথা নাড়ানোর ফলে দুলছেছিপছিপে পাতলা গড়ন নয়, বেশ ফোলা গড়ন, তবে অত্যধিক নয়, ঠিক যেখানে যত টুকু বেশি লাগে ঠিক তত টুকু বেশি আছে দেসদিমনার
দেসদিমনা নিজের ডেস্কে বসে গেল, আমি নিজের কেবিনে ঢুকে পড়লামল্যাপটপ খুলে দেখলাম একটা মেল এসেছে, পরের দিন সাতেকের জন্য আমি অফিসে থাকব না, তাই ভাবলাম মেলের উত্তর টা দিয়ে দেই
স্যার আসতে পারি?” আমি মাথা উঠিয়ে দেখলাম দরজা খুলে হাসি হাসি মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে দেসদিমনাঐ হাসি দেখলে কেউ কি আর না বলে থাকতে পারে, মাথা নাড়িয়ে ভেতরে আসতে বলে ইশারা করলাম সামনের চেয়ারে বসতেটেবিলের ওপরে কাঁধের থেকে ব্যাগটা রেখে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল একটুআমি আর চোখে দেখলাম যে টপের ওপর দিয়ে, ভরাট বুকের মাঝের গভীর খাঁজ, সুডৌল বক্ষের কোমলতার ওপরে আলো ছায়ার লুকোচুরি খেলামেলের উত্তরে আর মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াল আমারপ্রানপনে চোখ দুটি ল্যাপটপের স্ক্রিনে আবদ্ধ করে মেল টাইপ করতে বসলাম
আমি ল্যাপটপের দিকে তাকিয়েই ওকে বললাম একটা মেলের উত্তর দিয়ে বের হচ্ছি আমি
ঠিক আছে স্যার, আপনি যখন বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসবেন তাহলে কোন চিন্তা নেইআপনি কাজ সেরে নিন
আমি কিছুক্ষণের মধ্যে কাজ সেরে ওর দিকে মাথা উঠিয়ে দেখলাম যে ও রুমের এদিক ওদিকে দেখছেআমি বললাম চল আমার কাজ শেষ
হ্যাঁ স্যার চলুনতারপরে একটু খানি কানপেতে কিছু শুনে বলল স্যার মনে হচ্ছে বৃষ্টি কিছুটা বেড়ে গেছেএকটু দাঁড়িয়ে গেলে হয় না?”
না, গাড়ি আছে তো সাথে কোন অসুবিধা হবে নাআর আমাকে বের হতে হবে না হলে আমার গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যাবে
ওকেব্যাগ টা কাঁধে নিয়ে উঠে পড়ল দেসদিমনা, আমি সাথে সাথে ল্যাপটপ ব্যাগ গুছিয়ে একবার রুমের চারদিক দেখে বেড়িয়ে গেলাম
নিচে নেমে দেখলাম যে, বৃষ্টিটা সত্যি বেড়ে গেছে, তবে বেড়িয়ে পরা ঠিক, একটু মাথা পাগল লোক আমি, একা একা ড্রাইভ করি, একা একা ঘুরে বেরাইবৃষ্টি মাথায় নিয়ে পারকিঙ্গের দিকে এগিয়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম, পাশের সিটে দেসদিমনাতাকিয়ে দেখলাম, ড্যাসবোর্ডের ওপরে ব্যাগ রেখে, মাথার চুলটা খুলে নিয়ে একটু মাথা ঝাঁকিয়ে নিলচুল থেকে কিছু জলের ছিটা আমার মুখে এসে পড়ল, আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলগাড়িতে স্টার্ট দিলাম
গাড়ি রাস্তায় বের হতেই স্যার আপনি একা ঘুরতে যাচ্ছেন?”
হ্যাঁচোখ সামনে রেখে গাড়ি চালাতে হবে, এই উচ্ছল তরঙ্গিণীর দিকে তাকালে এই বৃষ্টিতে গাড়ি নিয়ে আমাকে যমালয়ের পথ ধরতে হবে, সেটা আমি চাইনা
আমার না খুব ইচ্ছে করে বৃষ্টিতে লঙ ড্রাইভে যেতেগলায় বেশ উচ্ছাসের সুর
চালানর ফাঁকে আড় চোখে তাকাই মাঝে মাঝে ওর দিকেমাঝে মাঝে দু হাত তুলে আড়ামড়া ভাংছে দেসদিমনা, ছোটো হাঁটার টপ, ভাঁজ হয়ে কুঁচকে গিয়ে বগল পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, মসৃণ ত্বক, ছিটেফোঁটা রোঁয়ার নাম গন্ধ নেইগা থেকে বেশ কেমন একটা মন মাতানো গন্ধ বের হচ্ছে, সাথে সাথে সারাদিনের একটা ক্লান্তির আঘ্রাণ মিশে সেই সুবাস আমার নাকের ভেতর দিয়ে মাথায় গিয়ে মাথার ঘিলুটা নিয়ে লোফালুফি খেলছে
তো বের হও না কেন?”
কে নিয়ে যাবে আমাকে স্যার?” আমার দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হেসে বলল আপনি?”
ভাবছিলাম বলে ফেলি, চল আমার সাথে ঘুরতে বেশ মজা করব, কিন্তু সেটা ঠিক বের হল না, হয়তো আমার বয়স আর অফিসের পদ আমাকে বাধা দিল কেন, তোমার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে যাবে
বয়ফ্রেন্ড নামটা শুনে দেসদিমনা যেন একটু ক্ষুণ্ণ হল না স্যার, আমার নেই
আমি তো প্রায় আকাশ থেকে পড়ার মতন কি বল তুমি, এত সুন্দরী মেয়ের কোন বয়ফ্রেন্ড নেই?”
হেসে বলে না স্যার, একা আছি অনেক ভালো আছিতারপরে আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল আপনি ও তো একা একা ঘুরতে যাচ্ছেন, কোন সাথী না নিয়ে
বড় পুরানো ব্যাথার জায়গায় ঘা দিল দেসদিমনা, উত্তর দেবার ভাষা হারিয়ে ফেললাম আমিআমার সাথি আমার স্ত্রী, বড় ভালবাসার পাত্রী, সুকন্যা, আমার বুকের বাঁ দিক জুরে এখন ঘর বেঁধে আছেবাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, ঠিক চোদ্দ বছর আগে আমাকে হটা একদিন টাটা বাই বাই করে সেই যে আমার কোলে ঘুমিয়ে পড়ল আর জাগাতে পারলাম না আমিডাক্তারের দিকে চোখে আকুতি নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম, একবার সুকন্যা কে ঘুম থেকে ভাঙ্গানর জন্য, কিন্তু কেউ শোনেনি আমার কথাসবাই আমাকে বলল যে আমার সুকন্যা নাকি আর নেই, কি করে বিশ্বাস করি নেই, তার আগের দিন রাত পর্যন্ত আমি ওর হাত ধরে বসে ছিলাম হস্পিটালের বিছানার পাশেআমাকে বলেছিল সিগারেট বেশি খেওনা, আমার বুকে বড় ব্যাথা করেআর স্নান করার পরে ভালো করে মাথা মুছবে না হলে তোমার সাইনাসের ধাত আছে কখন আবার সর্দি লেগে যাবে মাথা ব্যাথা শুরু করবে
আমি ডাক্তারকে বলেছিলাম যে আমার বাচ্চা চাইনা আমার সুকন্যা কে ফিরিয়ে দিকনা, কেউ আমার কথা শোনেনি, না ডাক্তার না উপরওয়ালাবাচ্চাটা নাকি গলায় নাড়ি জড়িয়ে ভ্রুনের মধ্যে রাতেই মারা গেছিল, ব্লাডারে প্লাসেন্টা বিষাক্ত হয়ে গেছিল, কেউ বাঁচেনিঅত্যধিক রক্তক্ষরণের ফলে সুকন্যা অপারেশান টেবিলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলআমার সামনে শুধু তার সাদা কাপড়ে ঢাকা পার্থিব শরীর পরে ছিলসুকন্যার মাথা কোলে নিয়ে কান্নার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম আমি
আমি নিরুত্তর, এই বেদনা কাউকে বলার নয়দেসদিমনা আমাকে জিজ্ঞেস করল কি হল স্যার, চুপ করে গেলেন কেন? কিছু উল্টো পাল্টা জিজ্ঞেস করে ফেললাম নাকি আমি?”
চোখ দুটো জ্বালা করছে, কাঁদতে পারিনা সর্বসমক্ষে না কিছু নাবুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বললাম ছাড়ো ওসব পুরানো কথা, তোমার কথা বল
ঠিক আছে স্যার, মনে হল খুব একটা ব্যাথার জায়গায় নাড়া দিয়ে দিলাম আমিসরি স্যার
দ্যাটস ওকে
আপনি যেখানে যাচ্ছেন সেই জায়গাটা কেমন?” সুরে একটু কৌতূহল
দারুন জায়গা, তিন বার গেছিপাহাড় আমাকে ভীষণ ভাবে টানে, আমার মনে হয় যেন ওখানে থেকে যাই, কিন্তু পাপী পেট, কাজকর্ম না করলে খাবো কিহেসে উত্তর দিলামকাল্কাজি এসে গেছে, আমি গাড়ি ধিরে করে ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম তোমার বাড়ি কোনদিকে?”
মাথা নিচু করে হাতের আঙ্গুল নিয়ে খেলা করছে দেসদিমনা, আমার প্রশ্ন শুনে মাথা না উঠিয়ে বলল স্যার এই বৃষ্টিতে আমার ঘরে যেতে ইচ্ছে করছেনা, খুব ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে
বেশ তো, যখন তোমার কোন বয়ফ্রেন্ড হবে তখন সে নিয়ে যাবে তোমাকেআমি হেসে উত্তর দিলামদেসদিমনা নিরুত্তর, আমি জিজ্ঞেস করলাম আবার তোমার বাড়ি কোনদিকে বলতোমাকে নামিয়ে দিয়ে আমাকে বের হতে হবে
আমার দিকে তাকাল দেসদিমনা, দুচোখ কেমন যেন ভাসাভাসা আপনার সাথে যেতে পারি, স্যার?”
আমি প্রথমে ঠিক করে ধরতে পারিনি কি বলছে মেয়েটা, আমি অবাক হয়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি বলছ?”
চলুন না স্যার, বেড়িয়ে পরি এই বৃষ্টির রাতেযেখানে আপনি যাচ্ছেন, সেখানে
কি বলছ তুমি, সেটা একবার ভেবে দেখেছতোমার বাড়ির লোক কি ভাববে, আর আমি কেন নিয়ে যাবো তোমাকে?”
আমি তো এখানে মেসে থাকি, একটা ফোন করেদিলে হলআপনি সাথে নিয়ে যাবেন কিনা সেটা বলুন
এটা ঠিক কি রকম মেয়ের পাল্লায় পরা গেল, অফিসের জুনিয়র কলিগ, আমার চেয়ে বয়সে প্রায় বছর পনের ছোটো মেয়েটাআমি হেসে বললাম তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছেনা বাড়ি যাও, বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম কর সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে
আওয়াজ শুনে মনে হল যেন একটু অভিমান হয়েছে দেসদিমনার ঠিক আছে স্যার, আমাকে এখানে নামিয়ে দিন আমি অটো নিয়ে বাড়ি চলে যাবো
কি মুশকিলে পরা গেল মেয়েটাকে নিয়ে, বৃষ্টি হয়েই চলেছে তবে হাওয়া আর চলছেনা, শুধু ঝিরঝির করে অঝর ধারা ঝরে চলেছে কালো মেঘের থেকেআমি গলার স্বর যথেষ্ট নরম করে বললাম ইজ দেয়ার এনি প্রবলেম?”
গাড়ি ধিরে ধিরে এগিয়ে চলেছে, এই রকম ভাবে চললে আমার যাওয়া হয়ে গেছেগাড়ির ভেতরে বসা এক রমণী যে আবার একটু অভিমান করে বসে আছেকি করব কিছু ভেবে পাচ্ছি নাআমার দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে চোখ রেখে বলল ঐ সামনের বাঁ দিকে টার্ন নেবেন, চারটে ব্লক ছেড়ে আমার মেসআমি একবারের জন্য ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখলাম দেসদিমনার দিকে, জানালার বাইরে তাকিয়ে গালে হাত দিয়ে বসেচেহারার উদাসিনতা দেখে কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পেলাম নাবাইরের বৃষ্টির দিকে তাকিয়েই আমাকে বলল এই রকম এক বৃষ্টির রাতে আমার ব্রেকআপ হয়েছিল, তাই আমার মনটা কেমন করে উঠলোআপনার তো জেনে দরকার নেই, আপনি আমাকে নামিয়ে দিয়ে ঘুরতে যান
মেয়েটার মুখ দেখে আমার মনের ভেতরটা হটা করে কেমন উদাসিন হয়ে গেলবুকের ভেতরটা আকুলি বিকুলি করে উঠলো, এত সুন্দরী একটি মেয়ে আমার ভ্রমন সঙ্গিনী হবে, এটা ভেবে আমার ভেতরে যেন একটা আগুন জ্বলে উঠল
আমি দেসদিমনার দিকে তাকিয়ে বললাম ওকে, একটা সর্তে নিয়ে যেতে পারিআমার কোন ব্যাক্তগত ব্যাপারে তুমি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না
আমার কথা শুনে যেন লাফিয়ে উঠলো দেসদিমনা, হাসিতে যেন উতফুল্লর ছোঁয়া, যেন অনেকদিন পরে একটা বাঁধা তোতাপাখী ছাড়া পেয়েছে সত্যি আমাকে নিয়ে যাবেন
আমি হেসে উত্তর দিলাম হুম, যাও তাড়াতাড়ি নিজের জামা কাপড় নিয়ে আসো আমি দাঁড়িয়ে আছিগাড়ি ততক্ষণে ওর বাড়ির নিচে এসে দাড় করিয়ে দিলাম
আপনি একটু দাঁড়ান আমি এখুনি আসছিগাড়ির দরজাটা কোনো রকমে খুলে আমার দিকে যেন একটা মিষ্টি চুমু ছোঁড়ার মতন মুখ করে দৌড়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেল
আমি ওর দৌড়ে যাওয়াটা পেছন থেকে দেখতে থাকলাম, যেন উচ্ছল এক হরিণী, কেমন চুলের গুচ্ছ আর নিতম্বের লয়ে আমার চোখের সামনে দিয়ে চলে গেলআমার বুকের মাঝে এক তুফান, একা পেলে এই রমণীর সাথে কি করব আমি, নিজেকে সামলানোর দিকের কোন প্রশ্ন ওঠেনাদেসদিমনা নিশ্চয় বোঝে যে যখন এক নর আর নারী নিভৃতে ঘুরতে যায় তখন সেখানে জৈবক্ষুধার আগুন জ্বলে ওঠা কোন ব্যাপার নয়ভাবতে ভাবতে হেসে ফেললাম আমি
সুকন্যা চলে যাওয়ার পরে, গত চোদ্দ বছরে সি.পি, সাউথ.এক্স, জি.কে, কৈলাস কলোনি, নর্থ ক্যাম্পাস থেকে কত মেয়েকে নিয়ে শুলাম, নিজের জৈবক্ষুধার তাড়নায়, ক্ষুধা মিটেছে বৈকি, কিন্তু মনের তৃষ্ণা কেউ মেটাতে পারেনিকাউকে মনে ধরেনি বা ধরাতে চেষ্টা করিনি, আমিসূর্য সকালে ওঠা মাত্র আমার রূপ হয়ে যায় এক সিংহের মতন, গুরু গম্ভির কেশর ফুলিয়ে সারা অফিসে ঘুরে বেড়াই, আর সূর্য পাটে বসার পরে আমার চরিত্র হয়ে যায় ক্ষুধাতুর হায়নার মতন, গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াই দিল্লীর নাইট ক্লাব আর পাবে, কোন নারীকে দেখে ভালো লাগলে কাছে ডাকি, বাড়ি নিয়ে বিছানায় ফেলে ছিঁড়ে কুটে নিজের ক্ষুধা নিবারন করি, সকাল হলে একটা সাদা খাম ধরিয়ে দেই সেই মেয়েটার হাতে, বলি হ্যাভ নাইস টাইম বেবিগো হোম
স্টিয়ারিঙ্গের ওপরে মাথা নিচু করে বসে আমি ভাবি আমার সুকন্যার কথাসুকন্যা যে এখন আমার বুকের বাঁ দিক টায় ঘর বেঁধে আছেনা, সুকন্যার সেই ভালবাসার কুঠির আমি ভাঙ্গার চেষ্টা করিনি কোনদিনরোজ সকালে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলত, কানের লতিতে আলতো করে কামর দিয়ে জাগিয়ে তুলতমাঝে মাঝে খুব দুষ্টুমির ইচ্ছে হলে আমার লিঙ্গ টাকে মোচড় দিয়ে বলত কিরে, অনেক তো রাতে জ্বালালি আর কত ঘুমবি তুইআমি যখন টুরে যেতাম তখন রোজ সকালে আমাকে ফোন করে সেই চুমু খাওয়ার আওয়াজ দিত আর আমার ঘুম ভাঙ্গাতআমি ক্যাসেটে সেই আওয়াজ রেকর্ড করে নিয়েছিলাম তাই আজ সুকন্যা আমাকে ঘুম ভাঙ্গায়পরে আমি সেই আওয়াজ মোবাইলে ঘুম ভাঙ্গার এলারম হিসাবে সেট করে নেইকোকিল কন্ঠি সুকন্যা ডেকে ওঠে রোজ সকালে উমমমমমমআর ঘুমোয় না সোনা, উঠে পরকি হল আবার বালিশ নিয়ে ওদিকে মুখ ফিরলে কেন? ওঠ নাওঠ ওঠ ওঠ…”
কি হল স্যার, শরীর খারাপ করছে নাকি?” গলা শুনে আমার সম্বি ফিরে এলোদেসদিমনা কখন যে গাড়ির দরজা খুলে ঢুকেছে আমার খেয়াল নেই
সুকন্যার কথা ভাবতে ভাবতে আমার চোখের পাতা একটু ভিজে গেছিল, সামলে নিয়ে হেসে বললাম না একটু ক্লান্তি লাগছে তাই মাথা নিচু করে বসেছিলাম আমি
আমি গাড়ি চালাব স্যার?” জিজ্ঞেস করল দেসদিমনামেয়েটা দেখি একদম ঘুরতে যাবার উপযুক্ত পোশাক পরে এসেছে, দেখে তো আমার সিংহ বাবাজি নড়েচড়ে উঠলোব্রাউন রঙের বারমুডা শর্টস আর হাত কাটা গেঞ্জি, কাঁধে ছোটো একটা ব্যাগ, ওর মধ্যে মনে হয় ওর জামা কাপড়ভরাট বুক দুটি চোখের সামনে যেমন ভাবে নড়ছে এই যেন ধরে একটু খানি আদর করে দেই
আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম তুমি গাড়ি চালাবে? তুমি চালাতে জানো, ডি.এল আছে?”
হ্যাঁ স্যার, খুব ভালো ভাবে জানিআপনি বসুন আমি চালাচ্ছি
ওকে,” আমি নেমে গেলাম, গাড়ি থেকে না বেরিয়েই, সিটের ওপর দিয়ে ড্রাইভার সিটে বসে পড়লো দেসদিমনাবৃষ্টি একটু খানি ধরে এসেছে, ঘড়ি দেখলাম প্রায় নটা বাজে, এবারে যাত্রা শুরু করা উচিরাত নটা তায় আবার বৃষ্টির রাত, রাস্তা ঘাট ফাঁকা হয়ে গেছেহাইওয়ে ধরতে বিশেষ বেগ পেতে হলনাদেসদিমনার গাড়ি চালানর হাত বেশ পাকা, হাইওয়ে ধরতেই গাড়ির কাঁটা ষাট পেড়িয়ে গেলরাস্তা জলে ভেজা আমি ওকে বেশি স্পিড নিতে বারণ করলাম
খিল খিল করে হেসে উত্তর দিল কেন স্যার, মরার ভয় আছে নাকি? আমার তো আজকে মনে হচ্ছে যেন পিঠে পাখা গজিয়েছেগাড়ি নিয়ে উড়ে যেতে ইচ্ছে করছে খুবমেনি থাকন্স স্যার, আমাকে সাথে নেবার জন্য
কাম অন দেসদিমনা, গাড়ি আসতে চালাও, রাস্তায় ট্রাক আছে আর গাড়ি আছে
আসে পাশের গাড়ির চালক একটা মেয়েকে পাজেরও চালাতে দেখে একটু থমকে গেল মনে হল, যে ভাবে গাড়ি ছোটাচ্ছে দেসদিমনা মনে হল কিছু একটা করে বসবেঠোঁটে লেগে আছে এক অদ্ভুত খুশীর হাসি, যেন ছোট্ট একটি বাচ্চা মেয়ে খুঁজে পেয়েছে তার অনেকদিনের হারানো খেলার পুতুলবৃষ্টি নেই অনেকক্ষণ, গাড়ি বেশ জোরে দৌড়াতে শুরু করেছেরাস্তা অন্ধকার, ঠাণ্ডা হাওয়া কেটে হুহু করে ধেয়ে চলেছে গাড়িআমি আমার সিটটা পেছন দিকে হেলিয়ে দিয়ে বেশ আরাম করে বসলামমেয়েটা বেশ দারুন গাড়ি চালাচ্ছেআমি মাঝে মাঝে ওর দিকে তাকাচ্ছি, এক হাত গিয়ারে এক হাতে স্টিয়ারিং, বেশ পোক্ত গাড়ির চালক মনে হচ্ছে
আমি হেসে জিজ্ঞেস করলাম অফিস জয়েন করার আগে কি ট্যাক্সি ড্রাইভার ছিলে?”
কথা শুনে হাসিতে ফেটে পড়ল, হাসার সাথে বুকের বৃহ কুঁচ যুগল কেঁপে উঠলোআমার দৃষ্টি আটকে গেল কেঁপে ওঠা ভরাট বুকের ওপরেআমার দিকে না তাকিয়েই উত্তর দিল শিলঙের মেয়ে আমি, ঐ পাহাড়ে অনেক জিপ চালিয়েছি
শিলং নামটা শুনে ধুক করে উঠলো আমার বুক, সুকন্যার মামার বাড়ি শিলং বিয়ের পরে একবার গেছিলাম তাও অনেক আগেআমি দেসদিমনা কে হেসে বললাম বাপ রে তাহলে কি মুন্সিয়ারি পর্যন্ত তুমি টেনে নিয়ে যাবে?”
আমার দিকে চোখ টিপে উত্তর দিল উপযুক্ত পারিশ্রমিক পেলে নিয়ে যেতে পারি
আমি অনেক ক্ষণ ধরে ভাবছিলাম একটা কথা জিজ্ঞেস করব দেসদিমনা কে যে ওর হটা করে আমার সাথে ঘুরতে যাবার শখ কেন জাগল আচ্ছা একটা কথা বলবে আমাকে, তোমার ভয় করল না আমার সাথে যেতে? আমি একা তুমি একা, কিছু একটা বেয়াদপি হয়ে গেলে?”
কেন স্যার, আপনার কি ভয় লাগছে আমার সাথে যেতেহেসে উত্তর দিল তারপরে বলল স্যার আমরা দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক, আশা করি নিজেদের প্রতি অতটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারব
মনে মনে ভাবলাম, বাছাধন আমার রাতের রূপ তো দেখনি আমি কত নিচ আর হীনপ্রায় রাতে আমার বিছানায় এক নতুন মেয়ে চাই যার সাথে শরীর ভরে সঙ্গম করি আমিনিজেকে সংযত রেখে বললাম আমার যদি না থাকে?”
খিল খিল করে হেসে উত্তর দিল দেসদিমনা কি যে বলেন স্যারআমি এইচ.আর, লোক চিনিআপনি অফিসে বরাবর খুব গম্ভির থাকেন, কারুর সাথে দরকার ছাড়া কথা বলেন নাআপনার চেয়ে সেফ পুরুষ কে আছে?” হাসি থামিয়ে কিছু পরে জিজ্ঞেস করল স্যার একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করতে পারি?”
একটু গম্ভির গলায় বললাম আমি না দেসদিমনা, আমার সর্ত ছিল যে তুমি আমার কোন ব্যাক্তিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে নাআমার একদম ইচ্ছে নেই কেউ আমাকে আমার সুকন্যার ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন করুক আর সেই শুনে আহা উঁহু করুক, আমার সুকন্যা এখন বেঁচে আছে
ওকে স্যার, সরিআচ্ছা আমার কিন্তু খুব খিদে পেয়েছেদেসদিমনা আমাকে বলল রাত অনেক বেড়ে গেছে, আপনার তো আবার একটু ব্লাড সুগার আছে, বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকলে তো শরীর খারাপ করবে
আমি তো ওর কথা শুনে চক্ষু চরক গাছ, আমার নাড়ির খবরাখবর এত কি করে জানে তোমাকে কে বলল যে আমার ব্লাড সুগার আছে?”
ভুরু নাচিয়ে বলল কেন স্যার, লাস্ট টাইম যখন মেডিকেল ইন্সিওরেন্স করা হয় তখন সবার মেডিকেল হিস্ট্রি নেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে আমি জানি
কথা শুনে মনে হল, হ্যাঁ যে ডিপার্টমেন্টে আছে ও সেখানে সবার নাড়ির খবরাখবর রাখতে হয়আমি বললাম কিছু দুর গেলে, গড়গঙ্গা পাবে তার আগে কিছু ধাবা আছে সেখানে আমরা খেয়ে নেব
কিছুক্ষণ যাওয়ার পরে দেখলাম ধাবা, আমি গাড়ি দাঁড় করাতে বললাম ওকেদেসদিমনা অনায়াসে বেড়িয়ে পড়ল গাড়ি থেকে, পরনে বারমুডা আর হাত কাটা গেঞ্জিদেখতে বেশ গোলগাল সুন্দরী, মনে মনে হেসে ফেললাম এই ভেবে যে যাচ্ছ আমার মতন একটা বেয়াদব মানুষের সাথে, তোমাকে না চটকে তো আমি খালি হাতে ফিরব নাওকে দেখে ভাবলাম যে, আমিও ড্রেস চেঞ্জ করে নেই, ফরমাল ড্রেস পরে কি আর ঘুরতে যাওয়া যায়ব্যাগের থেকে ট্রাক প্যান্ট আর টিশার্ট বের করে চেঞ্জ করে নিলাম
আমাকে দেখে বলল বাঃবা স্যার, এই বয়সে তো ভালো মেন্টেন করেছেন নিজেকে? বাঙ্গালির ভুঁড়ি থাকে সেটা তো আপনার নেই
এই ব্লাড সুগারের জন্য রোজ সকালে উঠি আর মর্নিং ওয়াকওর পাশে এসে দাঁড়িয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলাম কি খাবে এত রাতে?”
আমি তো শুধু একটা তন্দুরি রুটি চিনি দিয়ে খাবোএত রাতে বেশি তেল মশলা খেলে গ্যাস হয়ে যাবে, আপনি খেয়ে
স্বল্পা আহার, এযে দেখি পাখীর আহার খাও
গলায় কেমন আবেশ মিশিয়ে বলল দেসদিমনা বাঃ রে মোটা হয়ে যাচ্ছি যে?”
তোমাকে দেখে কে বলে মোটা? তুমি একদম পারফেক্ট টেন
খিল খিল করে হেসে বলল বাঃ স্যার, ফ্লারটিং হচ্ছে আমার সাথে?” হাসির চোটে আবার দুলে উঠলো ভরাট বুক, ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম, হাত কাটা গেঞ্জিটা বেশ নিচে নামান তাতে বুকের মাঝের উপত্যকা ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছেআমি একটু যেন লজ্জায় পরে গেলাম, পায়ের মাঝে সিংহ বাবাজীবন জানান দিয়ে দিল আমি আছি
খাওয়ার সময়ে দেখলাম যে উত্তর আকাশে বিদ্যু চমকাচ্ছে, আমাদের যেতে হবে উত্তর দিকে, আমি দেসদিমনাকে বললাম তাড়াতাড়ি খেতে, আমাদের তাড়াতাড়ি বের হতে হবে
খেলাম তো পাখীর খাবার, আমি একটা কোক কিনলাম ওর জন্যে আর আমার জন্য একটা লিমকা, একটু ভদকা মিশিয়ে নেব তার সাথেখাওয়ার পরে দেসদিমনা রেস্টরুমে গেল, ততক্ষণে আমি আমার লিমকায় ভদকা মিশিয়ে নিয়ে খেতে শুরু করলামএবারে আমি গাড়ি চালাব ভেবে রেখেছি, মেয়েটা প্রায় তিন ঘন্টা ধরে গাড়ি চালিয়েছে
দেসদিমনা কিছু পরে ফিরে এসে দেখে আমি ড্রাইভার সিটে বসে, আমার দিকের দরজা খুলে আমার টিশার্ট ধরে এক প্রকার জোর করে বলল এটা কি হল স্যার, আমি গাড়ি চালাব
আমি বললাম আর কত চালাবে, এরপরে আমি চালাই তুমি রেস্ট নাওটানাটানিতে আমি নিচে নেমে এলাম আর সোজা ওর সাথে ধাক্কাআমার প্রসস্থ বুকের ওপরে ওর কোমল বুক পিষে গেল, মনে হল যেন দুটি মখনের দলা বুকের ওপরে থেতলে গেল, এত নরম বক্ষরমণীর পরশ তো নতুন নয় আমার শরীরে কিন্তু দেসদিমনার কোমল কুঁচের ছোঁয়া আমার মেরুদন্ডের মাঝে এক তড়ি প্রবাহের সৃজন করলআমি ঝট করে নিজেকে সামলে সরে দাঁড়ালামআধো আলোতে দেখলাম দেসদিমনার মুখখানি একটু লাল হয়ে উঠেছেআমার দিকে না তাকিয়েই পাশ কাটিয়ে ড্রাইভার সিটে বসে পড়ল
বসে পড়ুন, ওটা আবার কি গিলছেন?” ভদকার গন্ধ মনে হয় পেয়েছে দেসদিমনা
প্রায় অর্ধেক বোতল ছিল বাকি, আমি বললাম এই একটু খানি বাকি তারপরে যাচ্ছি
গলায় যেন আদেশের স্বর মাখা না ঐ সব গিলতে হবে না, চুপ করে বসে পড়ুন না হলে আমি কিন্তু গাড়ি নিয়ে দিল্লী ফিরে যাব
ওকে বাবাআমার মনে হল যেন একবার সাবধান করে দেই তবে আমি মজা করে বললাম তুমি কিন্তু তোমার সর্ত ভুলে যাচ্ছ এবারে
ঠিক আছে আমি আর কিছু বলব না, আমি তো ড্রাইভার মাত্র তাই নাএটা ঠিক কি হল, এযে মনক্ষুণ্ণ হবার সুর শুনছি, দেসদিমনা কি কিছু মনে ধরে বসেছে নাকি, তাহলে তো মুশকিল হবে খুব
আমি একবার হাতের বতলের দিকে দেখলাম, একবার গাড়ির সিটে বসা দেসদিমনার দিকে দেখলামগাড়ি স্টার্ট করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, যেন বলছে উঠে পড়তে না হলে গাড়ি নিয়ে আমার ওপরে চালিয়ে দেবেআমি প্রমাদ গুনলাম, সাথে সাথে একটু রেগে গেলাম, আমার নিজেস্ব বলয়ের মাঝে কেউ হস্তক্ষেপ করলে আমার মাথা বড় গরম হয়ে যায়বোতল টা হাত থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গাড়িতে বসলাম আর গাড়ি ছেড়ে দিলমনে মনে একটু রাগ হচ্ছিল দেসদিমনার ওপরে তাই সিট পেছনের দিকে পুরোটা নামিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম
কিছুক্ষণ পরে দেসদিমনা আমাকে জিজ্ঞেস করল রাগ করেছেন আমার ওপরে আমি আপনাকে ঐ সব খেতে দেইনি বলে?”
আমার ভেতরের সুপ্ত সিংহটা যেন জেগে উঠলো, আমি চোয়াল শক্ত করে গম্ভির গলায় বললাম তুমি নিজের গন্ডি উলঙ্ঘন করছ দেসদিমনা
ঝাঁঝিয়ে উঠলো মেয়ে বেশ করেছিচুপ করে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন যতক্ষণ না উঠাবএযে দেখি অধিকার জমাতে শুরু করে দিয়েছে, একবার ভাবলাম খেলা তো দারুন জমবেতবে আমার ইচ্ছে হলনা যে মন নিয়ে শেষ পর্যন্ত টানাটানি হোকআমি চুপ করে চোখ বন্ধ করে থাকলাম, কিছুক্ষণ পরে মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম
ঘুম ভেঙে গেল হটা করে, গাড়ি দাঁড়িয়ে আছেবুকটা ধুক করে উঠলো, পাশের সিটে দেখি দেসদিমনা নেই, বুকের মাঝে হটা ভয় ঢুকলবাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার, ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়েছে সাথে হাল্কা হাওয়াঘড়িতে দেখলাম যে রাত তিনটে বাজে, মেয়েটা গেল কোথায় ইঞ্জিন স্টার্ট করা, দেসদিমনা নেই, সামনে তাকিয়ে দেখি ঝিরঝির বৃষ্টির মধ্যে রাতের অন্ধকারে এক অপরূপ সুন্দরী কন্যে দুহাত ছড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছেঝিরঝির বারী ধারা সেই সুন্দরী রমণীর পেলব কমনীয় দেহ কে স্নান করিয়ে দিয়েছেআমি কিছুক্ষণ ধরে ওর দিকে তাকিয়ে ওর রূপ সুধা আকন্ঠ পান করতে লাগি, বড় মধুর লাগে সেই দৃশ্যআমি একটা সিগারেট জ্বালিয়ে দরজা খুলে গাড়ি থেকে নেমে পড়িকোন বিকার নেই দেসদিমনার, গাড়ির হেডলাইটের আলোয় দেখলাম ওর পা থেকে মাথা পর্যন্তপরনের গেঞ্জিটা ভিজে ত্বকের সাথে মিলে গেছে, গেঞ্জির নিচের গাড় রঙের ব্রা দেখা যাচ্ছে, উন্নত বক্ষের কিছুই আর যেন চোখ বন্ধ করে মনে ছবি আঁকতে হয় না, সব কিছুই উন্মিলিত আমার লোলুপ দৃষ্টির সামনেপেট খানি একটু গোলগাল, নাভির চারদিকে আঠার মতন লেপটে আছে গেঞ্জিটাদুই বাহুম শরীরের দু পাশে যীশুর মতন ছড়ানো, চোখ বন্ধ আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে আছে
আমার সুপ্ত হায়না নড়ে উঠল, মনে হল চোখের সামনে এক নিরীহ হরিণী আমার খাদ্য, মনে হল ঝাঁপিয়ে পরি ঐ লাস্যময়ী হরিণীর ওপরে আর ছিঁড়েকুটে খেয়ে ফেলি ওর পেলব নধর শরীর খানি, মিটিয়ে দেই নিজের ক্ষুধাবাঁধ সাধল সুকন্যা মাথার মধ্যে ফিসফিস করে বলে উঠল অনিন্দ্য , এ তোমার খিধে মেটানর বস্তু নয়
সিগারেটে একটা লম্বা টান মেরে দেসদিমনার উদ্দেশ্যে বললাম ভিজছ কেন এইরকম ভাবে? গাড়িতে ওঠ, ঠাণ্ডা লেগে জ্বর হবে যে
একটু যেন অপ্রস্তুত হয়ে পরে দেসদিমনা আমাকে দেখে ও স্যার আপনি উঠে পড়েছেন? সরিদৌড়ে আমার কাছে চলে এলো একদম সামনে দাঁড়িয়ে, আমাদের মাঝে শুধু এক ইঞ্চির ব্যাবধানআমার দিকে মুখ তুলে তাকাল, চোখের চাহনি দেখে আমার বুকের ভেতরটা হটা করে থেমে গেল ধুক করতে গিয়েআমি ওর পটল চেরা চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণনিচু স্বরে বলল আমাকে জানেন স্যার, শিলঙে খুব বৃষ্টি হয়, আর এই রকম বৃষ্টিতে ছোটো বেলায় অনেক ভিজেছিবড় হবার পরে কোনদিন সেই ছোটো বেলার ছোটো ছোটো খুশী গুল খুঁজে পাইনি, তাই এই রাতের অন্ধকারে ভাবলাম একটু খানি সেই আনন্দ টাকে হাতের মুঠির মাঝে ধরার
দেসদিমনার চোখে মুখে যেন এক প্রবল খুশীর আমেজ খেলে বেড়াচ্ছে, খুব উজ্জ্বল উচ্ছল মনে হলে মেয়েটাক্ষণিকের জন্য মনের ভেতর আনচান করে উঠল, আমি ওর খুশীর হাসি দেখে কেমন উদাস হয়ে গেলাম, আমি নিজের হাসি ভুলে গেছিআমি দুকদম পেছনে সরে গিয়ে হেসে উঠে বললাম গাড়িতে ওঠ, ড্রেস চেঞ্জ করে নাওএখান থেকে আমি চালাচ্ছিএকদম ছোটো বাচ্চা মেয়ের মতন মাথা নাড়িয়ে জানিয়ে দিল ঠিক আছে স্যারদরজা খুলে পেছনের সিটে উঠে পড়ল, আমি ও গাড়িতে উঠে চালাতে শুরু করলামফাঁকা রাস্তা, দুদিকে শুধু গাছ পালা, মনে হচ্ছে একটু পরে কাঠগদাম পৌঁছে যাবো, আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে জিজ্ঞেস করতে যাবো দেসদিমনাকে যে কোথায় এনে ফেলেছে, কিন্তু দেসদিমনাকে দেখে আমার মুখের কথা মুখে থেকে গেলদেসদিমনা পেছন ফিরে হাঁটু গেড়ে বসে, গাড়ির পেছন থেকে নিজের ব্যাগ খুলে মনে হয় জামাকাপড় বের করছিলপুরো পিঠ অনাবৃত, ঊর্ধ্বাঙ্গে শুধু কালো ছোটো বক্ষবন্ধনি, সাদা ধবধবে পিঠগোল কাঁধের পরে শরীরের দুপাশ বেঁকে নেমে এসেছে পাতলা কোমরেতারপরে ফুলে ওঠা দুই নিটোল নিতম্ব, বারমুডা যেন আর ধরে রাখতে পারছেনা এত বিশাল পুরুষ্টু নিতম্ব দুটিকেআমার দিকে পেছন করে সামনের দিকে ঝুঁকেছিল তার ফলে কোমরের থেকে প্যান্টিটা একটু খানি বেড়িয়ে গেছিল, আবছা আলোতে মনে হল যেন লাল রঙের ছোট্ট প্যান্টি পরাএক ঝলক দেখে আমার মাথার রক্ত গরম হয়ে গেল, মাথার মধ্যে জেগে উঠল এক চরম ক্ষুধা, শুধু মাত্র দেসদিমনার শরীর টাকে নিচে ফেলে সঙ্গমে রত হলে যেন আমার সেই ক্ষুধা মিটবেআমার লিঙ্গ বাবাজীবন প্যান্টের ভেতরে টানটান, একবার মনে হল গাড়ি দাড় করিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঢুকিয়ে দেই ঐ নিতম্বের খাজের মাঝখানে আমার তপ্ত লৌহ শলাকা, ছিঁড়ে ফেলি ওর পরনের বারমুডা আর হায়নার মতন খাবলে খেয়ে নেই ওকেহটা মাথায় যেন কেউ বাড়ি মারল, “এই অনিন্দ্য কি হচ্ছে এটাআমি সামনের দিকে তাকিয়ে গলা খ্যাঁকরে জানান দিলাম যে আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে চাই
আচমকা আমার গলার আওয়াজ শুনে চমকে উঠল দেসদিমনা, রিয়ারভিউ আয়নায় দেখতে পেলাম ওর ভয় আর কৌতূহল মেশান চাহনি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেবুকের কাছে জড় করে ধরা একটা শার্টকাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করল আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন স্যার?”
আমি কয়েক বার গলা খ্যাঁকরে গলাটা পরিস্কার করে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম মরাদাবাদ কতক্ষণ ছেড়েছ
ঘন্টা দুয়েক হয়ে গেছেগলার কাপুনি এখন কমেনি
তুমি ওইরকম ভাবে কাঁপছ কেন?”
কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে বলল কিছু না স্যার, বৃষ্টিতে ভিজে ঠাণ্ডা লাগছিল তাই
হে হেহেসে ফেললাম আমি, একটু মজা করার ইচ্ছে জাগল ওর সাথে তুমি যখন পেছন থেকে শার্ট বেড় করছিলে আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে তোমার সব কিছু দেখে ফেলেছি
আয়নায় দেখলাম, দেসদিমনার দু চোখে ভীষণ লজ্জা নিয়ে চোখ নিচু করে নিল, একটু খানি আবেগ জড়িত কণ্ঠস্বরে আমায় বলল আপনি খুব ফাজিল
আমি উত্তর দিলাম কেন, তুমি তো বলেছিলে যে আমরা এডাল্টস হয়ে গেছি
তাই বলে চুপি চুপি সব দেখে নেবেন?”
কিছুই তো দেখলাম না তোমার, শুধু তো ঐ সুন্দর মখমলের মতন পিঠ খানি ছিল চোখের সামনে
ধ্যাত, চুপ করুন অনেক বাজে বকছেন আপনিলজ্জায় মনে হয় লাল হয়ে গেছে দেসদিমনা, আমি গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে সামনে চোখ নিয়ে মুখের ভাবাবেগ কিছু ঠাহর করতে পারলাম না, তবে গলার আওয়াজ শুনে মনে হল বেশ একটু লজ্জায় পরে গেছেএকদম পেছন দিকে দেখবেন না, আমি শার্ট পরে সামনে আসছি
আমি ওকে বললাম না আর সামনে আসতে হবে না তোমারদেখ পেছনে একটা স্লিপিং ব্যাগ আছে, ওর মধ্যে ঢুকে সিটের ওপরে শুয়ে পর
কিছু উত্তর দিলো না দেসদিমনাকারুর মুখে কোন কথা নেই চুপ করে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিকিছুক্ষণ পরে আমাকে জিজ্ঞেস করল স্যার আমি সামনে আসবো?”
কেন সামনে কেন আসবে?”
পেছনে না, আমার খুব একা লাগছে, তাই
একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছারলাম আমি, যে দৃশ্য কিছুক্ষণ আগে আমার চোখের সামনে দেখলাম তাতে তো আমার লিঙ্গ বাবাজী এখন মাথা নোয়ায়নি, প্যান্টের জায়গাটা একদম কৈলাস পর্বত হয়ে আছেআমি ওকে বললাম ঠিক আছে চলে এসো
পাশের সিট হেলান ছিল, তাই অনায়াসে সামনের সিটে চলে এল দেসদিমনাআমি আর চোখে দেখলাম গায়ে একটা শাল জড়িয়ে নিয়েছে, মনে হয় ঠাণ্ডা লাগছেসিটের ওপরে পা গুটিয়ে আপাদমস্তক শাল জড়িয়ে আমার দিকে ফিরে শুয়ে পড়লআমি গাড়ি একটু আস্তে করে নিয়ে ওর দিকে তাকালামগলা পর্যন্ত শালে ঢাকা, ডান হাত ভাঁজ করে মাথার নিচে রাখা, আমার দিকে মিটিমিটি করে হাসছে যেন বলছে আর কিছু দেখতে পাবেনা
আমি হেসে বললাম তুমি তো টানা ছঘন্টা গাড়ি চালালে, এবারে ঘুমোয়, আলমোরা এলে তুলে দেব আমি
হ্যাঁ, আমি ঘুমব আর আপনি যদি কিছু করেন?” হেসে উত্তর দিল দেসদিমনা, আমি চুপ, করার তো অনেক ইচ্ছে আছে কিন্তু আমাকে কেউ বাধা দিচ্ছে দেসদিমনা, জানিনা সে কেঅন্য সময়ে সে আসেনা আমার কাছে, কিন্তু আজ রাতে সে যে আমাকে বাধা দিচ্ছে
কিছু পরে কথা বলল দেসদিমনা, আওয়াজে কেমন উদাস সুর জানেন স্যার, আমি যখন কলেজে তখন আমার একটা বয়ফ্রেন্ড ছিলসমবয়সি একি ক্লাসে পড়তাম আমরাবেশি দিন টেকেনি আমাদের রিলেসান, ব্রেকআপ হয়ে গেল একদিন, এইরকম বৃষ্টি পরছিল সে দিনআমার একজন বান্ধবীর সাথে সেক্স করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরেআমার খুব খারাপ লেগেছিলআমি কোন কৈফিয়ত শুনতে চাইনি ওর কাছ থেকে, কিন্তু ব্রেকআপ হবার পরেও অনেক দিন পর্যন্ত আমার পেছনে লেগে ছিল ছেলেটাসেই যে ছেলেদের প্রতি আমার একটা বিতৃষ্ণা জন্মে গেল মনের মধ্যে আর কাটিয়ে উঠাতে পারলাম না আজ পর্যন্ততাই আমি সব সময়ে ছেলেদের সংসর্গ থেকে দুরে থাকিবুকের থেকে যেন অনেক জমানো একটা ব্যাথা দুর হল দেসদিমনার, গলা ধরে এসেছে জানেন, আমার বাবা, আমাকে খুব ভালবাসেদুই দাদার পরে আমি একমাত্র মেয়ে বাবার চোখের মণিআমি দিল্লী যাবো শুনে খুব কেঁদেছিলেন বাবা, কিন্তু আমার মুখ চেয়ে আমাকে বলেছিলেন যে সিলঙ্গে থেকে কি হবে, আমি যেন নিজের জগত নিজে খুঁজে নেইবাবা বলেছিলেন যে পৃথিবী টাকে দুচোখ ভরে দেখে তবে ঘরে ফিরতেআই মিস মাই ড্যাড ভেরি মাচকেঁদে ফেলল দেসদিমনা
এই অশ্রুর কোন পথ্য আমার জানা নেই, জমানো ব্যাথা বয়ে যাক নয়নের জলে, সেটাই উপযুক্ত চিকিসাসেই সময়ে মনে হয়েছিল যে জড়িয়ে ধরাটা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া কিন্তু আমার সেটা কখন মনে হয়নি যে জড়িয়ে ধরে আমি ওকে স্বান্তনা দেইআমি কিছু বললাম না, চুপ করে থাকলাম আমিআমার দিকে থেকে কোন উত্তর পেলনা দেসদিমনা, কিছু পরে তাকিয়ে দেখি, চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়েছেরাস্তার অনেক ধকলে মুখ খানি একটু শুকন মনে হল, দুঠোঁট শুকনোসরু একটা জলের দাগ বাঁ চোখের কোন থেকে গড়িয়ে নাকের ডগা পর্যন্ত এসেছেমনের ভেতরে একটা অট্টহাসি ফেটে উঠলো, হায় আমার বিধি, কেন আমি এই মেয়েটার দিকে ঝুঁকে চলেছি
ঘড়ি দেখলাম, পাঁচটা বাজে, পুবের আকাশে ঊষার লালিমার ছটা লেগেছেকিছুপরে নৈনিতাল পেড়িয়ে আলমোড়ার পথ ধরলাম, গাড়ি একেবেকে পাহাড়ে উঠে চলেছেআমার দিকের কাঁচ নামান, বেশ ঠাণ্ডা ফুরফুরে হাওয়া লাগছে চোখে মুখে, চারদিক সবুজ পাহাড় উঁচু হয়ে আছেপাখীর কিচির মিচির গানে আকাশ বাতাস মুখর হয়ে উঠেছেরাস্তায় এখন লোকজন বেড় হয়নিআমি পাশে চেয়ে দেখলাম, শালে মোড়া দেহ অবয়াবে ঢেউ খেলানো এক পাহাড়ি রাজকন্যে গভীর নিদ্রায় মগ্নচুল গুলো উস্কখুস্ক, কিছুটা সামনে এসে পূর্ণিমার চাঁদের মতন গোল মুখখানি ঈষ ঢেকে দিয়েছে
সাড়ে ছটা নাগাদ আমার সুকন্যা ডাক দিয়ে উঠলো, আমি সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলের এলারমটা বন্ধ করে দিলাম যাতে রাজকন্যের ঘুম না ভাঙ্গে
কিন্তু ঘুম ভেঙে গেল, ঘুম জড়ানো চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল কোথায় এলাম?”
এই ব্যাস আলমোড়া আর একটু দুরেওখানে থেমে আমরা একটা হোটেল নিয়ে নেব একটু ফ্রেস হয়ে আবার জার্নি শুরু করব
এখানে থেকে গেলে হয় না
না দেসদিমনা, বুকিং আগে থেকে করা আছে মুন্সিয়ারি, আর তো মোটে দশ ঘন্টা লাগবে
প্রায় চিকার ওরে ওঠে দেসদিমনা মোটে দশ এগার ঘন্টা, কি যে বলেন আপনিএতটা রাস্তা চালিয়ে যাবেনচোখের ঘুম কেটে গেছে আমার কথা শুনে, পটল চেরা দুচোখ বেশ বড় বড় হয়ে তাকিয়ে আমার দিকে
আমি হেসে উত্তর দিলাম আরে টেন্সান নিচ্ছ কেন, আমার অভেস্য আছে কুড়ি বাইস ঘণ্টা গাড়ি চালানরআমি মাঝে মাঝে পাহাড়ে যাই, খুব টানে আমাকে এই সব বরফে ঢাকা পাহাড়
শিলঙে বরফে ঢাকা পাহাড় নেই
ওহ, যেখানে যাচ্ছি আর যে হোটেলে থাকব তার ঠিক সামনে বরফে ঢাকা পঞ্চচুলি শৃঙ্গদেখ মন ভরে
আচ্ছা, অনেক বার এসেছেন মনে হয়
হ্যাঁ অনেক কিছু মিশে আছে মুন্সিয়ারি সাথেআমার মনটা কেমন উদাস হয়ে যায়, আঠের বছর আগে, সুকন্যা কে নিয়ে হানিমুনে এসেছিলাম আমি এই মুন্সিয়ারিখুব মজা করেছিলাম আমার হৃদ কামিনীর সাথে, ওকে আমি বলেছিলাম যে দুরে মিলাম গ্লেসিয়ার নিয়ে যাবো, ট্রেকিং করেভাগ্যবিধাতা সে সাধ মিটতে দিলনা আমারআমার স্বপ্ন বুকের মাঝে কোন এক চোরাগলিতে হারিয়ে গেল, সুকন্যার সাথে
আলমোড়াতে আমরা একটু ফ্রেস হয়ে নিলাম, কিছু খাওয়া দাওয়া করে বেড়িয়ে পড়লাম আবার সেই দুর পঞ্চচুলির উদ্দেশ্যেগাড়ি এগিয়ে চলেছে আঁকা বাঁকা পথ ধরে, কিছু দুরে গিয়ে নিচে নদীরে সাথে নামতে হবে বাগেশ্বর তারপরে আবার উঠা চোকউরিরাস্তা যেন আমার হাতের তালুদেসদিমনা একটা নীল রঙের জিন্স আর শার্ট পরে নিয়েছে, আমি ট্রাকসুট পরে নিয়েছিবর্ষার আমেজ লেগে রয়েছে বাতাসে, একটা সুন্দর ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে চলেছে, আকাশ একটু মেঘলাপাহাড়ে কখন বৃষ্টি নামে ঠিক নেই, তাই বেশ সাবধানে গাড়ি চালাচ্ছি আমিদুজনে চুপ, আমি গাড়ি চালানর সময়ে বিশেষ কথা বলতে ভালবাসিনা তার ওপরে আবার পাহাড়ি রাস্তাতে তো নয়
দুপুর নাগাদ পৌঁছে গেলাম চোকউরি, দেসদিমনা দুরের পাহাড় দেখে নেচে উঠলোছোট্ট মেয়ের মতন লাফিয়ে উঠে চিকার করে বলল স্যার, আমরা কি ঐ পাহাড়ের দিকে যাবো?”
আমি হেসে পুব দিকে দেখিয়ে বললাম আমরা ওদিকে যাবো
এগুলর নাম জানেন আপনি?”
বাপরে, অনেক গুলো পর্বত শৃঙ্গ আছে এখানে, তবে কয়েক টার নাম মনে আছেআঙ্গুল দিয়ে দেখাতে দেখাতে বললাম অইটা ত্রিশুল, ওটা নন্দাদেবী, ওটা নন্দাঘুন্টি, ওটা নন্দাদেবী ইস্ট, আর ওদিকে পঞ্চচুলি যেখানে আমরা যাবো
গলায় শাল জড়ানো, গায়ে নীল রঙের শার্ট, পরনে নীল রঙের জিন্স ঠিক যেন নীল পরীর মতন দেখতে লাগছে দেসদিমনাকেআমি একটা সিগারেট ধরিয়ে ওর দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকলাম আর ওর রূপ সুধা পান করে নিলাম দুচোখ ভরেকিছুপরে আমার দিকে তাকিয়ে দেখল দেসদিমনা, একটা মিষ্টি হেসে প্রায় দৌড়ে এলো কাছে, মনে হচ্ছিল যেন এই এসে আমাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরবেএকদম আমার সামনে এসে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল দেসদিমনা, অল্প হাপাচ্ছে, তার ফলে ভরাট বুক দুটি একটু ওঠা নামা করছে, ফর্সা গোল মুখখানি লাল হয়ে গেছে, দুচোখে যেন একটু আবেগের ছায়া মাখাআমার দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে রইল দেসদিমনাআমার থুতনিতে ওর উষ্ণ প্রশ্বাস লাগে, মনের গভীরে এক ব্যাকুলতা দেখা দিল, ওর ভেজা অধর দেখে
আমার ব্যাকুল মনের ছায়া ছড়িয়ে পড়েছে ওর বুকের মাঝে, আমি পরিষ্কার বুঝতে পারলাম ওর দুচোখ দেখে, অল্প ফাঁক করা গোলাপি অধর ওষ্ঠ দেখেওর সেই আবেগ মখান দুচোখ দেখে আমার চোখে জল এসে গেল, আমি ওকে বলতে চাইলাম দেসদিমনা তুমি যা চাইছ সেটা আমি তোমাকে দিতে পারিনাআমার বুকের মাঝে এখন সুকন্যার পাঁজরের খুঠির বাঁধাআমি কিছুতেই সেই কুঠির ভাংতে পারবোনাতুমি আমার ক্ষুধা তৃষ্ণা যদি মেটাতে চাও আমি মেটাতে পারি কিন্তু ঘর বাধতে আমি পারবো না দেসদিমনা

ভাসাভাসা চোখ নিয়ে তাকিয়ে বললাম চল এবারে, না হলে দেরি হয়ে যাবে
এতক্ষণ ধরে দেসদিমনা আমার সামনে অধীর প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল, আমার ভেজা গলার স্বর শুনে যেন সম্বি ফিরে পেলমাথা নিচু করে পাশ কাটিয়ে গাড়িতে বসে পড়লআমি সিগারেটে একটা বড় টান দিলাম, ফুসফুসের ভেতরে যতটা ধোঁয়া নেওয়া যায় পুরোটা নিয়ে নিলামডাক দিল আমাকে চলুন স্যার
আমি গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলাম, বাইরের দিকে তাকিয়ে দেসদিমনা, মনে হল যেন কিছু ব্যাথা পেয়েছেকিছু একটার প্রতীক্ষায় আমার কাছে ছুটে এসেছিল ঐ রাজকন্যে, কিন্তু আমি সেটা দিতে পারিনি বলে একটু হয়তো ক্ষুণ্ণবাইরে তাকিয়ে হটা ধরা গলায় বলে ফেলল আমার ভুল হয়ে গেছে স্যারআই অ্যাম সরি
আমি চুপ করে থাকি, কোন কথা বলিনা, কি বলব, কিছুতো বলার নেই আমারওর বুক ওর পাখীর মতন উচ্ছলতা নষ্ট করে দিতে মন চাইল না আমারমুন্সিয়ারি পর্যন্ত পুরো রাস্তা দুজনে একদম চুপ, কারুর মুখে কোন কথা ছিল নাচুপ করে বসে ছিল দেসদিমনা, মনে হয় আমার দিকে এক বারের জন্য তাকায়নিমাঝে মাঝে আর চোখে দেখছিলাম আমি, কখন বাইরের দিকে তাকিয়ে, কখন চুপ করে বসে নখ খুটছে
সন্ধে ছটা নাগাদ আমরা মুন্সিয়ারি পৌঁছে গেলামআমি দিল্লী থেকে কে.এম.ভি.এন বুক করে এসেছিলাম তাই রুম পেতে কোন অসুবিধা হল নাম্যানেজার জানিয়ে দিল যে আট টার মধ্যে ডিনার করে নিতেসেই পুরানো জায়গা, আঠার বছর আগে আমি এসেছিলাম, আমার ভালবাসার পাত্রীকে নিয়ে, বুকের পাঁজরের মাঝে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম আমি
রুমে ঢোকার পরেও বিশেষ কথা বার্তা বললনা আমার সাথে দেসদিমনাওর চোখেমুখে হেরে যাবার বেদনা ফুটে উঠেছে, ব্যাথায় যেন ওর বুকের পাঁজর একটা একটা করে ভাঙ্গছেআমি চিকার করে বলতে চেষ্টা করলাম দেসদিমনা আমি অসহায়, আমি আমার বুকের মাঝে আঠের বছরের নতুন একটা কুঠির বাঁধাকিন্তু আমি কিছু বলতে পারলাম না
আমার আগে ও বাথরুমে ঢুকে পড়ল ফ্রেস হবার জন্যআমি নিজের জামা কাপড় বেড় করে নিলাম ব্যাগ থেকেকিছু পরে বেড়িয়ে এলো ঢিলে একটা পাজামা আর টিশার্ট পরেআমার দিকে তাকিয়ে বলল যান তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে নিনসারাদিনের জার্নির কষ্টটি আর মুখে লেগে নেই, তার বদলে বেশ একটু হাসি হাসি ভাব মুখেগা থেকে সুন্দর একটা মন মাতানো গন্ধ বেড় হচ্ছে
আমি ঢুকে পড়লাম বাথরুমে, আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে রইলাম অনেকক্ষণবুকের বাঁপাশে একটা কিল মারলাম আমি, তারপরে হেসে ফেললামদাড়ি কামিয়ে ফ্রেস হয়ে বেড়িয়ে দেখি, দেসদিমনা বারান্দায় দাঁড়িয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে, অন্ধকার পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে আছেচোখের সামনে আবার সেই ফুলে ওঠা নিটোল নিতম্বের ছবি, ঢোলা প্যান্টটা দুই নিতম্বের খাঁজে আটকে গিয়ে কোমল নিতম্বের আকার ফুটিয়ে তুলেছেআমি আওয়াজ না করে পাশে গিয়ে দাঁড়ালামআমার উপস্থিতি টের পেয়ে আমার দিকে সরে এসে গা ঘেঁসে দাঁড়াল
আমি জিজ্ঞেস করলাম দেসদিমনা কে দেসদিমনা, কি হল তোমার হটা করে? এমন চুপ হয়ে কেন গেলে তুমি?”
সোজা হয়ে গা ঘেঁসে দাঁড়িয়ে আমার দিকে মুখ তুলে তাকাল দেসদিমনা, চোখে সেই পরাজয়ের ছায়াআলতো করে আমার হাতে হাত রেখে বলল স্যার, কেন নিয়ে এসেছিলেন আমাকে এখানে সত্যি করে বলবেন?”
ওর কথা শুনে বুকের ভেতর পর্যন্ত ধুধু করে জ্বলে গেল, কি উত্তর দেব, কটু সত্য হচ্ছে যে আমি ওকে নিয়ে এখানে আমার ক্ষুধা মেটানর জন্যে নিয়ে এসেছিকিন্তু কিছু কারনে, কি কারন সেটা এখন বুঝে উঠতে পারিনি, আমি ওকে আমার শয়ন সঙ্গিনী রূপে ভাবতে পারছিনা, না আমার হৃদয়ে স্থান দিতে পারছি
আমি চুপ দেখে আবার জিজ্ঞেস করল আমি একটা প্রশ্ন করেছি উত্তর চাই আমারএবারে স্বর যেন একটু দৃঢ়
সত্যি শুনবে না মিথ্যে শুনবেআমি ওর দিকে না তকিয়েই উল্টো প্রশ্ন করি
আপনি যেটা বলতে চাইবেন সেটা আমি শুনব
আমি রুমের মধ্যে ঢুকে পড়লামব্যাগ থেকে ভদকার বোতল বের করে জলের সাথে মিশিয়ে গলায় ঢেলে দিলামওর চোখ মুখ আর প্রশ্ন শুনে আগে থেকেই আমার মাথাটা ঝিমঝিম করছিল, রক্তে শুরা মিশে গিয়ে সেই ঝিম ভাবটা প্রবল হয়ে উঠল
আমাকে ঐ রকম ভাবে ভদকা গলায় ঢালতে দেখে একটু রেগে গেল দেসদিমনা, জোর করে আমার হাত থেকে বোতল ছিনিয়ে নিয়ে বলল কেন খাচ্ছেন এই সব?”
চোয়াল শক্ত করে বললাম দেসদিমনা, তুমি আমার সর্ত ভুলে যাচ্ছকেন এই রকম করছ তুমি আমার সাথে?”
দেসদিমনার দুচোখে মুক্ত বিন্দুর ঝিলিক, চেঁচিয়ে উঠলো রাজকন্যে টুঁ হেল উইথ ইওর প্রমিসআমি আমার প্রশ্নের উত্তর চাইনা হলে আমি এইখান থেকে ঝাঁপ দেব
আমি ওর হাত ধরে চেয়ারে বসিয়ে দিলাম, ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে ওর কোমল হাতদুটি নিজের হাতের মধ্যে নিলামমাথা নিচু আমার, ফর্সা কোমল আঙ্গুল গুলো আমার হাতের মধ্যে খেলা করছে, এক ফোঁটা জল মনে হয় হাতের ওপরে পড়লনিচু স্বরে ধরা গলায় বলল দেসদিমনা বাবিন চলে যাবার পরে আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম যে আর কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক রাখব নাকাউকে যদি কোনদিন ভালবাসি, সে যেন আমার থেকে অনেক অনেক বড় হয় যাতে আমাকে সে অনেক ভালবাসে, সব সময়ে বুকের মাঝে ধরে রাখবেকিছুক্ষণ চুপ করে থাকে দেসদিমনা, আমি মাথা উঠিয়ে তাকালাম ওর মুখের দিকেঠোঁট দুটি তিরতির করে কাঁপছে আপনি বিয়ে করেননি, কত সুন্দর এবং গম্ভির ব্যাক্তিত্ব আপনারআপনাকে দেখে মনে হয়েছিল যে আপনি সেই মানুষআপনি যখন রেসিগ্নেসান দিলেন, আমার বুক ফেটে গেছিলআপানার সাথে শেষ দেখা করে মনের কথা জানাবার জন্যে প্রবল ইচ্ছে জাগেআজকের সারাদিনের ব্যাবহারের পরে আপনার প্রতি সেই শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা কয়েক কোটি গুন বেড়ে যায়দুচোখ বন্ধ করে এক নিঃশ্বাসে বলে ফেলে দেসদিমনা আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি অনিন্দ্য
আমি ওর কোমল হাতদুটি হাতে নিয়ে আমার দুগালের ওপরে রেখে বললাম দিম, আমি ভালো লোক নইতুমি যাকে দেখছ সে অন্য জগতের বাসিন্দাআমি তোমার সাথে শুধু সেক্স করার জন্য নিয়ে আসতে রাজী হয়েছিলামকিন্তু এখন আমি…” একটু থামলাম আমি এবারে সেই সত্যি কথা বলতে হবে আমার ভালবাসার পাত্রী, আমার স্ত্রী…” চোখ মেলে তাকাল আমার দিকে, দুচোখে সহস্র প্রশ্ন, আমি মরা হাসি হেসে বললাম আমার সুকন্যা আমাকে ফেলে একা একা ঘুরতে চলে গেল ঐ পারেওর মাথা আমি কোলের মধ্যে নিয়ে কোঁকিয়ে উঠেছিলাম, কত বার করে ডাক দিলাম আমি, সুকন্যা আমাকে একা ফেলে যেওনাআমি বড় একা হয়ে যাবো, কেউ শুনল না আমার কথাকত চেষ্টা করলাম আমি ওর ঘুম ভাঙ্গাতে, কিন্তু কই উঠল নাতো আর, ফিরে আসলো না যে আমার কোলেআমার দুচোখ দিয়ে তখন অবিরাম ধারায় বয়ে চলেছে কান্না
হাত ছাড়িয়ে আমার মাথা দুহাতে ধরে চেপে ধরে নিজের বুকের ওপরে দেসদিমনা, আমি দুহাতে ওর পাতলা কোমর জড়িয়ে ধরিপিষে ফেলতে চাই ওর কোমল শরীর, ওর ঘন নিঃশ্বাস আমার চুলের ওপরে ঢেউ খেলে চলেছেথেকে থেকে আমার শিরায় অগ্নি স্ফুলিঙ্গের আবির্ভাব হয়ে চলেছেকোমল বক্ষের ওপরে চেপে ধরে আমার মাথা, আমিম বুঝতে পারি যে দিম ভেতরে ব্রা পরেনি, আমার শিরার পারদ দুকাঠি ওপরে সরে গেলআমি ঠোঁট দুটি আলত করে খুলে ছোট্ট একটি চুমু দেই ওর বাম স্তনের ওপরেউষ্ণ ঠোঁটের পরশ পেয়ে শিউরে ওঠে দিম অনি, সুকন্যাদির জায়গা আমি কখন নেবো না, আমাকে শুধু তোমার কাছে থাকতে দাও
আমি এতক্ষণ পরে সেই অজানা মানুষের মুখ খানি চোখের সামনে দেখলাম, যে আমাকে এতক্ষণ সাবধান করে এসেছিল, দেসদিমনার সাথে প্রাণহীন সঙ্গম করতে বাঁধা দিচ্ছিল, আমার ভালবাসার পাত্রী, সুকন্যা, ঠিক দিমের পেছনে দাঁড়িয়ে হাসি হাসি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলছে তোমার বুকের কুঠিরে আমার জায়গা ঠিক থাকবে, আমার কুঠিরে আমি দিমকে আশ্রয় দিলামভালো থেকো অনি সোনা…”
আমি বুকের মাঝে থেকে মুখ তুলে তাকালাম ওর দিকে, হাসি হাসি চোখ নিয়ে তাকিয়ে দিমআমার বাঁ হাত ওর কোমর ছেড়ে উঠে এলো ওর মাথার পেছনে, মুঠি করে চুলের গুচ্ছ ধরে টেনে নিলাম ওর মুখ খানি আমার ঠোঁটের ওপরেবসিয়ে দিলাম আমার ঠোঁট ওর মিষ্টি গোলাপি অধর ওষ্ঠেআলতো করে আমি ওর নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে চুষতে থাকিদিম দুহাত আমার চুল আঁকড়ে ধরে চুম্বন টাকে আরও নিবিড় করে নিতে চায়জিব ঢুকিয়ে দেয় আমার মুখের মধ্যে, আলতো করে জিবের ডগা আমার সামনের দাঁতের পাটির ওপরে বোলাতে শুরু করেচুম্বনে এত মধুরতা আমি এক যুগ পরে অনুভব করিদিম আমার চুল নিয়ে পাগলের মতন আঁচড়াতে থাকে, আমি ওর মাথার চুল শক্ত করে নিজের মুঠির মধ্যে ধরে আর চেপে দেই ওর ঠোঁট আমার তৃষ্ণার্ত ঠোঁটের ওপরেভিজে ঠোঁটের মাঝে জ্বলছে আগুনচুম্বন টাকে কেউ যেন থামাতে চাইছি নানিঃশ্বাস হয়ে উঠেছে ঘন, প্রেমাবেগের নিঃশ্বাসে ঝরে পড়ছে আগুন
আমি ওর চুলের মুঠি ছেড়ে দিলাম, আমার ঠোঁট ছেড়ে নাকের ওপরে আলতো করে চুমু খায় দিম, নিচু স্বরে আমায় জিজ্ঞেস করে ডিনার, খাবে না?”
আমি হেসে ফেললাম খেতে যাবে?”
নাকের ওপরে নাক ঘষে আলতো করে বলল সুকন্যাদি কে জিজ্ঞেস করে এসো?”
আমি দিমের ঠোঁটের ওপরে আলতো চুমু খেয়ে বললাম পরে বলবআমি দিমের কোমর জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেই, পেলব দুজঙ্ঘা ফাঁকা করে আমাকে নিজের কাছে নিয়ে নেয়আমার পুরুষ শলাকা কঠিন হয়ে ঠিক দিমের নারীত্বের ওপরে চেপে বসেকোমল যোনি অধরে আমার শলাকার পরশ পেয়ে কেঁপে ওঠে দিম, আলতো শীকারে বলে ওঠে অনি আমি তোমারশুধু তোমার জন্য…”
আমি বাঁ হাত ঢুকিয়ে দিলাম দিমের টিশার্টের ভেতরে, ওর পিঠের ওপরে হাত বোলাতে শুরু করলাম আমিডান হাতে নিচে নেমে ওর নিটোল নিতম্বের ওপরে এক থাবা কোমল নারী মাংস নিয়ে টিপতে শুরু করলামদু হাত খামচে ধরে আমার জামার কলার, একটানে ছিঁড়ে ফেলে সব বোতাম, ভেতরে খালি বুক, পিষে দিল নিজের কোমল স্তন আমার প্রসস্থ বুকের ওপরেআমি ওকে ছেড়ে জামা খুলে ফেললাম, খালি বুক দেখে দু কাঁধে হাত রাখল দিমনিজের নিম্নাঙ্গ কে আরও জোরে চেপে ধরল আমার বজ্রকঠিন লিঙ্গের ওপরেআমি ওর কোমরের দুপাশে হাত রেখে আস্তে আস্তে টিশার্ট টাকে ওপর দিকে নিয়ে গেলাম, ধিরে ধিরে নধর স্তনের ওপর থেকে পর্দা সরে গেলদুহাত ওপরে করে টিশার্ট টা গায়ের থেকে খুলে ফেলল দিমআমার মতন ওর ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত, আমার চোখের সামনে দিমের সুগোল ফর্সা স্তনদিম আমার মাথা বাঁ হাতে জড়িয়ে আর পিঠের পেছনে ডান হাত দিয়ে নিজেকে আমার বুকের ওপরে চেপে ধরলআমার প্রসস্থ বুকের ওপরে দিমে কোমল স্তন পিষে থেতলে গেলদিমের দুবুকের মাঝে ফুটে ওঠা দুটি বৃন্ত যেন আমার বুকের ওপরে দাগ কাটছেকঠিন স্তনবৃন্ত যেন উতপ্ত নুড়ি পাথর, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে আমার বুক
আমি তৃষ্ণার্ত চাতকের মতন ওর ঘাড়ে, গলায় শত সহস্র চুম্বন বরিষণ করতে থাকিদুহাতের থাবায় খামচে ধরি দিমের কোমল দুটি নিতম্ব, পিষে আদর করতে শুরু করে দেই আমিবুঝতে পারি যে দিম প্যান্টি পরেনি, আমি ওর নিতম্ব টেনে কোমর নাড়িয়ে দিমের জঙ্ঘা মাঝে আমার লিঙ্গ দিয়ে ঘষতে শুরু ওরে দেইদুজনার পরনে শুধু মাত্র প্যান্টদিম দুপায়ে আমার কোমর জড়িয়ে ধরে, আমি ওর নিতম্বের নিচে থাবা রেখে ওকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দেইআমি উঠে দাড়াই আমার কোলের ওপরে দিম
আমি দিমকে বিছানায় শুইয়ে দেই, দিম আমার কোমরের হাত রেখে আমার প্যান্ট নিচে নামিয়ে দেয়আমি প্যান্ট খুলে ওর সামনে উলঙ্গ হয়ে যাইসটান বেড়িয়ে পরে আমার কঠিন সিংহ বাবাজীবনমাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে শায়িত রমণীর পায়ের ফাঁকে তাক করাওর পাজামার ওপরে দিয়ে ওটা যোনির আকৃতি দেখে আমার লিঙ্গ আরও বেশি শক্ত হয়ে ওঠেআমি ওর যোনির ওপরে আলতো করে হাত রেখে আদর করে দেই
যোনির ওপরে আমার কঠিন আঙ্গুলের পরশ পেয়ে প্রেমঘন স্বরে বলে অনি, আমি ভার্জিন
আমি হেসে বলি ডোন্ট অরি দিম, আমি তোমাকে সুন্দরী করে তুলবোডান হাতের আঙ্গুল দিমের নারীত্বের গহ্বর খুঁজে পেয়ে গেছেআমার আঙ্গুল দিমের যোনির চেরায় ওপর নিচে খেলতে শুরু করে দেয়দিম কোমর নাড়াতে থাকে আমার হাতের তালে তালেভিজে উঠেছে পাজামা, ঠিক যোনির জায়গায়আমি বাঁ হাত দিয়ে দিমের কোমল গোল পেটের ওপরে রেখে আদর করতে শুরু করিদিম দুহাতে নিজের বুক পিষে ধরে ডলতে শুরু করে দেয়আমি দিমের পাজামা কোমরের থেকে নিচে নামাতে শুরু করি, ধিরে ধিরে চোখের সামনে দিমের যোনি উন্মিলিত হয়মসৃণ ত্বক, রুমের আলোতে পিছলে যাচ্ছে, এক কণা রোঁয়া নেই দিমের যোনি প্রদেশেদু অধর মাঝের চেরা দেখতে বড় সুন্দর লাগে, মনে হল এই নারীর ভালবাসার গহ্বরে নিজেকে সঁপে দিয়ে জীবন কাটিয়ে দেইখুলে ফেলি দিমের পাজামা, চোখের সামনে সম্পূর্ণ উলঙ্গ আমার প্রানের রাজকন্যে, ধবধবে সাদা নরম বিছানায় শুয়ে আছে যেন এক জলপরী, সদ্য যেন জল থেকে উঠে এসেছে আর কামনার আগুনে কাঁপছে
আমি আমার শরীর টাকে বিছানার ওপরে টেনে তুলে ওর পাশে শুয়ে পরিশায়িত দিমের মুখের ওপরে ঝুঁকে ওর ঠোঁট নিজের ঠোঁটের মাঝে নিয়ে দীর্ঘ একটি চুম্বন দেইআমার ডান হাতের আঙ্গুল, দিমের যোনি ছাড়িয়ে ওপরে ওঠেআমার মধ্যমা আর অনামিকা ভিজে গেছে দিমের যোনি রসেআমি ওর গভীর নাভির ওপরে সিক্ত আঙ্গুল দিয়ে আদর করে দেইনিজের মধুতে সিক্ত আমার কঠিন আঙ্গুলের পরশে কেঁপে ওঠে দিমআমি ওর ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে মুখ নামিয়ে আনি ওর ঘাড়ের ওপরে, চুম্বনে চুম্বনে ভরিয়ে দিতে থাকি ওর গলা, ওর ওপর বক্ষদিম নিজের পুরুষ্টু থাই একে ওপরের সাথে দলিত করতে শুরু করে দেয়কামাগ্নি জ্বলে উঠেছে আমাদের শিরায় শিরায়
আমি মুখ নামিয়ে আনি দিমের বাম স্তনের ওপরে, ফর্সা গোল স্তনের মাঝে বাদামি বৃত্ত, তার মাঝে উদ্ধত স্তন বৃন্ত যেন তপ্ত নুড়ি পাথরআমি চেয়ে রই দিমের স্তনের দিকে, ক্ষীণ নীল শিরা বৃত্তের চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে যেন সূর্য কিরনের ছটাআমি জিব বের করে আলতো করে স্তন ব্রিন্তের ওপরে চেটে দেই, শীকার করে ওঠে দিম অনি আমাকে পাগল করে দিলে তুমি…” শীকার শুনে ঠোঁট চেপে ধরি স্তনের ওপরে, ঠোঁট খুলে মুখের মধ্যে যত বেশি স্তন নেওয়া যায় নিয়ে পাগলের মতন চুষতে শুরু করে দেইদিম আমার মাথা দুহাতে চেপে ধরে স্তনের ওপরে, আমি স্তনের বৃন্ত, কোমল নারী মাংস সমেত মুখের মধ্যে পুরে ক্ষুধার্ত শিশুর মতন কামড় চোষণ শুরু করে দেইদিম থেকে থেকে শীকার করে ওঠে খেয়ে ফেল আমাকে, নিঙরে নাও যা রস আছে আমার মধ্যে……”
আমি ওর স্তন ছেড়ে মুখ নিচের দিকে নামিয়ে আনি ওর গোল পেটের ওপরেঠোঁট যত নিচে যায়, সাথে যায় আমার জিবের থেকে নির্গত লালার ধারাসারা পেটের ওপরে ছোটো ছোটো চুমু আর জিব দিয়ে এঁকে দেই আমার ভালবাসার ছবিনাভির চারদিকে আলতো করে জিবের ডগা দিয়ে ভিজিয়ে দেই কোমল মসৃণ ত্বকজিবটা একবার নাভির গভীরে ঢুকিয়ে চেটে দেই আমিউফফফআমি পারছিনা আর অনি…” আমার বাঁ হাত ওর ডান স্তনের ওপরে উঠে চেপে ধরে ওর কোমল মাংসকাটা মাছের মতন ছটফট করতে শুরু করে দেয় দিমআমি ওর বাঁ জঙ্ঘার ভেতরে হাত রেখে ঠেলে সরিয়ে দেই, খুলে যায় জুরে থাকা জঙ্ঘাআমার ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে ওর বাম থাইয়ের ভেতরের কোমল ত্বকের ওপরে হাঁটু থেকে যোনির পাস পর্যন্ত আঁচড় কেটে দেইবারে বারে কঁকিয়ে ওঠে দিমআমি বিছানা থেকে নেমে হাঁটু গেড়ে বসি ওর ফাঁক করা থাইয়ের মাঝেচোখের সামনে যোনির চেরা নারী রসে সিক্ত হয়ে পাপড়ি দুটি চিকচিক করছেআমি দুহাতের তালু সমান করে ওর কোমল পেটের ওপরে চেপে ধরিওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি, দিমের দুচোখ বন্ধ, দুহাত মাথার ওপরে ভাঁজ করে বিছানার চাদর খামচে ধরে আছেঅধীর প্রতীক্ষায় দিম ক্ষণ গুনছে কখন আমি ওর নারী গহ্বরে চুম্বন আঁকব আমি মুখ নামিয়ে আনি ওর ফোলা যোনির ওপরে, আলতো করে চুমু খাই চেরা টার ঠিক ওপরেচুম্বন স্পর্শে কোমর তুলে আমার ঠোঁটের ওপরে ধাক্কা মারে দিমশীকার করে ওঠে কি করছ তুমি, এত কেন পাগল করছ আমাকে…”
আমি দুহাতে ওর দুই স্তন চেপে ধরি, পিষে ফেলি নরম তুলতুলে বক্ষদুই আঙ্গুলের মাঝে স্তন বৃন্ত নিয়ে ডলে দেই, বারংবার কেঁপে ওঠে দিমের পেলব শরীরঠোঁট নামিয়ে আনি আমি ওর যোনির চেরায়, জিব বেড় করে চেটে দেই আমি ওর গহ্বরের ফটকআমার জিবে লাগে ওর যোনি সুধা, এক মত্ত ঘ্রাণ নির্গত হয় ওর শরীর থেকেবারবার ওপর থেকে নিচে আমার পিপাসু জিব খেলতে থাকে দিমের যোনির চেরায়নরম জিবের পেশি শক্ত করে নিয়ে আমি পাপড়ি মাঝে প্রবেশ করিয়ে দেইশীকার করে ওঠে দিম না না নাপ্লিস চেট না ঐ রকম ভাবে…”
কাটা মস্য কন্যে জলের থেকে বেড় হয়ে আমার বিছানার ওপরে কামাগ্নিতে দগ্ধ হয়ে ছটফট করছেআমি ওর শীকারে কান না দিয়ে জিব দিয়ে খেলতে শুরু করি যোনির অভ্যন্তরেপ্রবল ভাবে কোমর নিতম্ব নাড়াতে থাকে দিম, চেপে ধরে আমার মাথা নিজের যোনির ওপরেআমার লোলুপ জিব খুঁজে পায় দিমের যোনির ওপরে ফুটে ওঠা ভগাঙ্কুর, আমি জিব দিয়ে নাড়িয়ে দেই ছোটো দানা টাকেদিমের শরীর বেঁকে যায় ধনুকের মতন, ছটফট করে দিম আমার নিচে, ঠোঁট চেপে ধরি আমি ওর ভেসে জাওয়া যোনির ওপরেএকের পর এক ঢেউ খেলে যায় দিমের শরীরের ওপরেশীকারে শীকারে মুখর হয়ে ওঠে রুমের বাতাসআমার কামুক জিব থামেনা, চেটে চুষে দিমের যোনি রসে নিজের তৃষ্ণা মেটাতে থাকি, আমার ঠোঁট, আমার চিবুক ভিজে যায় দিমের নারী মধুতেপ্রচণ্ড উত্তেজনায় দিমের সারা শরীর টানটান হয়ে যায়, উন্মত্ত হরিণীর মতন মাথা দিয়ে বালিশে মারতে থাকে দিমকেঁপে ওঠে দিম, থরথর করে, যেন বিদ্যু প্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে সারা শরীরে, হটা করে আমার মাথা ছেড়ে দিয়ে প্রানহীন কান্ডের মতন লুটিয়ে পরে বিছানার ওপরে
আমি নিজেকে টেনে তুলে ওর পাশে শুয়ে পরি, ওকে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে নিজের ওপরে শুইয়ে দেইদিমের যেন কোন হুশ নেই, বেহুঁশ হয়ে থাকা কোমল দিমের মাথা আমার বুকের ওপরে, পাদুটি আমার পায়ের দু দিকে ছড়ানোআমার কঠিন দাঁড়িয়ে থাকা লিঙ্গ দিমের জঙ্ঘা মাঝে আলত করে আঘাত করেদিম হাপাচ্ছে, হাপরের মতন ওঠা নামা করছে পিঠ, নরম স্তন আমার বুকের ওপরে থেতলে আছেআমি ওর পিঠের ওপরে হাত বোলাতে থাকিমাথা না উঠিয়ে, আবেগ মাখানো সুরে বলে তুমি আমাকে পাগল করে দিলেআমার সব কিছু কেমন ভাসা ভাসা স্বপ্ন মনে হচ্ছেদুহাতে আমাকে জড়িয়ে ধরে মাথা তুলে বুকের ওপরে ঠোঁট দিয়ে এঁকে দেয় ভালোবাসার ছবি
আমি ওর নিতম্বের ওপরে হাত নিয়ে গিয়ে ধিরে ধিরে পিষতে শুরু করি কোমল মাংসদিমের আগুন আবার জ্বলে ওঠেযোনির চেরায় আমার উত্তপ্ত কঠিন লিঙ্গ ধাক্কা মারেচোখ বন্ধ করে মাথা নামিয়ে নেই দিম আমার মাথার ওপরে, ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে উষ্ণ প্রশ্বাস ছেড়ে বলে অনি আমি ভার্জিন
আমি ওকে বলি দিম সোনা, আই উইল টেক কেয়ার অফ মাই হানি
আমি ওর কোমর জড়িয়ে ধরি, ওকে নিচে শুইয়ে দেইদিম আমার দিকে তাকিয়ে থাকে আধ বজা চোখেআমি ওর জঙ্ঘা দুটি ফাঁক করে মাঝে হাঁটু গেড়ে বসে পরিএকটা বালিশ টেনে এনে, ওর কোমরের নিচে রেখে দেই, তার ফলে দিমের কোমর আর নারীত্বের গহ্বর আমার লিঙ্গের সমান্তরালে চলে আসেআমি বাঁ হাতে দিমের ডান পা ধরে আমার বুকের ওপরে নিয়ে আসিডান মুঠিতে নিজ লিঙ্গ টাকে ধরে দিমের যোনির চেরায় আলতো করে ছোঁয়াইপাপড়ি সরিয়ে সিংহের মাথা প্রবেশ করে দিমের নারীত্বের গহ্বরেদিম আমার পেটের ওপরে হাত রেখে ঠেলে দেয় আমাকে শীকার করে ওঠে দিম উফফফএটা কিঅনি…”
আমি কিছুক্ষণ থেমে যাই, চেয়ে থাকি খাবি খাওয়া মস্যকন্যের দিকে, একটু একটু করে নিজেকে নামিয়ে আনতে চেষ্টা করি আমিধিরে ধিরে সিংহ মহারাজ প্রবেশ করে যাঁতার মতন চেপে ধরা যোনি গহ্বরেব্যাথায় ককিয়ে ওঠে দিম না আর পারছিনামেরে ফেললে যে আমাকে…” আমি আবার থেমে যাই, দিম দু হাতে আমার পেটের পেশি খিমচে ধরেদশ খানি নখ আমার পেশিতে বসে গেছেআমি ওর ডান পা ছেড়ে দিয়ে দিমের শরীরের ওপরে ঝুঁকে পরিদিমের বগলের তোলা দিয়ে দুহাত মাথার দুপাশে নিয়ে মাথা তুলে ধরিঠোঁটের ওপরে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়াই আমিসিংহ মহারাজ এখন সম্পূর্ণ গুহায় প্রবিষ্ট হয়নিদিম ভাসা ভাসা নয়নে আমার দিকে চোখ মেলে তাকায়, ফিসফিস করে বলে এত গরম আর শক্ত হয় নাকি?”
আমি ওর কথা শুনে হেসে ফেলি এখন তো বাকি আছে দিম
চোখ বড় বড় করে বলে মানে…?”
হটা করে কোমর নাড়িয়ে পিষে দেই দিমের নিমাঙ্গ, সম্পূর্ণ প্রবিষ্ট হয় লৌহ শলাকা, দিমের সিক্ত গহ্বরেঠোঁট কামড়ে সামলে নেয় দিম, তারপরে প্রেমঘন স্বরে বলে আমি আর পারছিনা যে অনি, আমি মরে যাবো এখানে…” আমি ওর নাকের ওপরে নাক ঘষে, আলতো করে ঠোঁটে চুমু খেলামধিরে ধিরে আমার কোমর নড়তে লাগলো, সিংহ মহারাজ তার রানীর সাথে আদিম কেলিতে রত হলমন্থন শক্তি ধিরে ধিরে গতি নিতে শুরু করে, সারা শরীরে থেকে থেকে ঢেউ খেলে যায়দিম শীকার করে বলে অনি তোমারটা তো আমার পেটে গিয়ে ধাক্কা মারছে গো, আমার মাথা পর্যন্ত আমি তোমাকে অনুভব করতে পারছি…”
সারা ঘরে শুধু বাসনা আর প্রেমের সুবাস ভুরভুর করছেআমার মন্থনের গতি দ্রুত থেকে দ্রুততর হয়ে চলেছেপ্রত্যেক প্রবিষ্ট মন্থনের তালে তালে দিম কোমর দিয়ে ওপরে ঠেলে ধরে, নিজেকে উজার করে দিতে প্রবল চেষ্টা চালায়উত্তপ্ত লিঙ্গের ত্বকের ওপরে আমি দিমের সিক্ত কোমল যোনির পরশ বারে বারে অনুভব করিযোনি গহ্বর যেন আমার লিঙ্গ টাকে আঁকড়ে ধরে আছে যাঁতা কোলের মতন, সিংহ বাবাজীবন কে বের করতে গেলে যেন আরও চেপে ধরে দিম নিজের অভ্যন্তরেদিম দু পায়ে আমার কোমর জড়িয়ে ধরে, পেলব জঙ্ঘা আমার কোমরের সাথে সাপের মতন পেঁচিয়ে যায়আমার নিতম্বের ওপরে মন্থনের তালে তালে দিম নিজের গোড়ালি দিয়ে আঘাত করেদুহাতে লতার মতন জড়িয়ে ধরে আমাকে, শীকার করে ওঠে দিম আমার আবার করে কিছু হচ্ছে অনি, জড়িয়ে ধর আমাকে, পিষে নিঙরে ছিঁড়ে ফেল আমাকেআমি চোখে আলো দেখছি অনিআমি কোথায় অনিআমার শরীরে একি হচ্ছে…”
মন্থনের গতি তীব্র হয়ে ওঠে ওর প্রেমঘন শীকার শুনে, হাতের মুঠোতে আমি ওর মাথার পেছনের চুল শক্ত করে ধরি, আর শরীরের সারা শক্তি দিয়ে মন্থন করে চলি আমিআমার শিরদাঁড়ায় তরল লাভা বইতে শুরু করে, সে লাভা পৌঁছে যায় আমার তলপেটের দিকেআমি হাঁপাতে হাঁপাতে বলি দিমকে আই লাভ ইউ দিমআই রিয়ালি লাভ ইউ…” প্রচণ্ড উত্তেজনায় বেঁকে যায় দিম, দশ আঙ্গুলের নখ বসিয়ে দেয় আমার পিঠের ওপরে, আমার সারা শরীর দুমড়ে মুচড়ে ওঠে, গায়ের সর্বশক্তি দিয়ে ভালোবাসার পাত্রীকে বিছানার সাথে চেপে ধরি আমিফেটে যায় আমার ভেতরের আগ্নেয়গিরি, ঝলকে ঝলকে নির্গত হয় লাভা, ধেয়ে যায় মতস্যকন্যের সিক্ত গহ্বরেমিলে মিশে একাকার হয়ে যায় দুটি চাতক চাতকীর নির্যাস
প্রেমে শৃঙ্গার শেষে আমি দিমের ওপর থেকে নেমে ওর পাশে শুয়ে পরিদিম আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার বুকের ওপরে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে দেয়প্রচণ্ড শৃঙ্গারে কপোত কপোতীর রোম রোম হতে ঘামের বিন্দু একে অপরকে স্নান করিয়ে দেয়আমি দিমের পিঠের ওপরে আলতো করে হাত বুলিয়ে আদর করতে থাকি, দিম শক্তি হারিয়ে ঝরা লতার মতন আমাকে আঁকড়ে ধরে পরে থাকে বুকের ওপরে
এত আদর কোথায় ছিল বিগত চোদ্দ বছরে, আমি নিজেকে প্রশ্ন করিকেন আমি খুঁজে পাইনি তোমাকে, দিম?
দিম মাথা উঠিয়ে আমার বুকের বাঁদিকে, ঠিক হৃদয়ের ওপরে চুমু খেয়ে বলে সুকন্যাদি আমি কোনদিন তোমার স্থান নেবো না, শুধু আমাকে একটু থাকার জায়গা দেবে এখানে?”
You might also like:

No comments:

Post a Comment